Kashmir Shocker: ভণ্ড পীরবাবার বিকৃত লালসায় পুড়েছে ১০০০ শিশু, একজনকেই ধর্ষণ ৫০০ বার! কাশ্মীরের কলঙ্ক...
Kashmir Shocker: এক নির্যাতিত আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে তিন বছরে তাকে কমপক্ষে ৫০০ বার ধর্ষণ করেছে আজাজ। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিনের পর দিন অমানুষিক নির্যাতন। এতদিনে ন্যায় পেল উত্তর কাশ্মীরের সোপোরের শয়ে শয়ে শিশু। এলাকায় পরিচিত ছিলেন পীরবাবা হিসেবে। একজন ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে প্রায় তিন দশক ধরে প্রায় হাজারখানেক শিশুর উপরে যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন সবার চোখের সামনেই। আজাজ শেখ নামে ওই ভণ্ড পীরবাবাকে দোষী সাব্যস্ত করল কাশ্মীরের আদালত।
আরও পড়ুন-শোভাবাজারে শিশুকে নৃশংস ধর্ষণ! সবক শেখাতে 'বর্বর' রাজীবকে ফাঁসির সাজা...
ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে, এলাকার একজন ইমাম হিসেবে তাকে বিশ্বাস করেছিলেন এলাকার মানুষজন। সেই বিশ্বাসেরই ফয়দা তুলেছেন আজাজ। প্রায় তিন দশক ধরে তাকে কেউ ধরতে পারেনি। সবাই নীরব ছিল কারণ তাকে মানুষজন পীরবাবা বলত। কিছুদিন আগে তারা মুখ খুলেছিল। তার পরেই বেরিয়ে এসেছে ভয়ংকর নির্যাতনের কাহিনী।
মঙ্গলবার আজাজকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দুটি পৃথক মামলায় তাকে ৭ বছর করে দুটি মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
মামলার কথা বলতে গিয়ে সরকারি আইনজীবী নাদিয়া নুর সংবাদমাধ্যমে বলেন, দুটি নির্যাতনের মামলায় আজাজকে মোট ১৪ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুটি শাস্তিই পরপর চলবে। ৫০ হাজার টাকা জরিমানও করা হয়েছে।
এক নির্যাতিত আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে তিন বছরে তাকে কমপক্ষে ৫০০ বার ধর্ষণ করেছে আজাজ। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখানেই শেষ নয়, শিশুদের তিনি যৌন সংসর্গ করতে বলতেন। সেই দৃশ্য তিনি তারিয়ে তারিয়ে দেখতেন। অনেক নির্যাতিতের বয়স ১০ বছরের নীচে।
অন্য এক নির্যাতিত সাক্ষ্য দিয়েছেন, ওঁকে কোরানের শিক্ষক হিসেবে আনা হয়েছিল। উনি বিভিন্ন পরিবার থেকে শিশুদের বেছে নিতেন। উনি চাইতেন ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের। তিনি তাদের উপরে যৌন নির্যাতন চালাতেন।
২০১৬ সালের ২ মার্চ প্রথম এফআইআর হয় শেখ আজাজের বিরুদ্ধে। টানা তদন্তের পর ২০১৭ সালে আজাজের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। ওই মামলায় মোট ৬ বার বিচারক বদল হয়। সোপোরের বিশিষ্ট আইনজীবী মির্জা জাহিদ খালিল বলেন, ৩৭৭ ধারায় সোপোরের বোমাই এলাকায় একটি মামলা রুজু হয়। শিশুদের উপরে যৌন নির্যাতন চালাতেন আজাজ। নির্যাতিতদের ভয় দেখতেন যে তিনি তাদের ও তাদের পরিবারের ক্ষতি করে দেবেন। এতেই চুপ করে থাকত নির্যাতিতরা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)