আতঙ্কের শিলিগুড়ি: মাদক খাইয়ে, ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে টানা এক মাস গণধর্ষণের শিকার শিশু
কখনও সিগারেটে মাদক মিশিয়ে, কখনও ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ছ-বছরের শিশুকন্যাকে। প্রায় মাসখানেক ধরে এই কাণ্ড চলছিল। শেষপর্যন্ত শিশুটি সব ঘটনা মা'কে জানানোর পরই, পুলিসের দ্বারস্থ হয় পরিবার।

ব্যুরো: কখনও সিগারেটে মাদক মিশিয়ে, কখনও ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ছ-বছরের শিশুকন্যাকে। প্রায় মাসখানেক ধরে এই কাণ্ড চলছিল। শেষপর্যন্ত শিশুটি সব ঘটনা মা'কে জানানোর পরই, পুলিসের দ্বারস্থ হয় পরিবার।
শিলিগুড়ি ইসকন মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলের এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে দুই অভিযুক্ত। দিনের পর দিন, ছ-বছরের ছোট্ট মেয়েটিকে নেশাগ্রস্ত করে ধর্ষণ করা হচ্ছিল। এই খবর সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে, শিলিগুড়ির ইসকন মন্দির অঞ্চলে বাজার এলাকায়। যারা অভিযুক্ত, থাকত একই বাড়িতে। পাশের ঘরে ভাড়াটে হিসেবে। মূল অভিযুক্ত দেবেন্দ্র ভাণ্ডারী, এবং তার পাতানো বোন, দুজনই আপাতত পুলিসের জালে।
অভিযুক্তরা নানা অছিলায় ডেকে নিয়ে যেত শিশুটিকে। প্রায় মাস খানেক পর শিশুটিরই কথায় তার মা বুঝতে পারেন, কী ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যাচ্ছিল, ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে।
শিশুটিকে কী কী মাদক খাওয়ানো হচ্ছিল, তার হদিশ পেতে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের ঘরে একপ্রস্থ তল্লাসি চালায় পুলিস।
এই জঘন্য ধর্ষণকাণ্ড সামনে আসার পর, ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী। যে বাড়িতে ভাড়া ছিলেন অভিযুক্তেরা, তার বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধেও উঠেছে একাধিক অভিযোগ।
হাতে টাকা পেলেই, যথেষ্ট। কোনও খবরাখবর না নিয়ে এলাকায় ঘর ভাড়া দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই দাবি এলাকাবাসীর। পুলিস-প্রশাসনের নির্বিকার মনোভাবেও অপরাধীরা প্রশ্রয় পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।