দিঘায় সমুদ্রের টানে এসে তলিয়ে যাচ্ছেন পর্যটকরা, কেন বাড়ছে দুর্ঘটনা?

সমুদ্রের টানে বহু পর্যটক আসেন দিঘায়। কিন্তু, এই দিঘাতেই ক্রমশ বেড়ে চলেছে জলে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিঘা সমুদ্রের চোরাস্রোত সম্পর্কে তেমনভাবে জানেন না পর্যটকরা। সচেতনা বাড়াতে প্রশানের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দার।
ডানকুনির প্রসেনজিত্ চ্যাটার্জি, আমহার্স্ট স্ট্রিটের খুরশিদ আলম, চাকদার রবি বিশ্বাস, বর্ধমানের স্বপন বারুই আর সোমা জানা। এরা সকলেই দিঘায় এসেছিলেন ঘুরতে। সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছেন ওরা। গত দুমাসে এধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, কেন? যাঁরা দিঘার সমুদ্রের গতিপ্রকৃতি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তারা বলছেন
দিঘা সমুদ্রের চোরাস্রোত সম্পর্কে ঠিকমতো জানেন না পর্যটকরা। মদ্যপ অবস্থায় অনেকেই সমুদ্রে নামেন। কোটালের সময় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে অনেকেই কানে তোলেন না। সৈকতে পুলিসি টহলদারি অত্যন্ত কম, নুলিয়াদের সংখ্যা বাইশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬। স্নানের জায়গায় শ্যাওলা আর ঘাটও অনেক জায়গায় ভাঙাচোরা।
একের পর এক দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করলেও এরজন্য প্রশাসনিক গাফিলতির কথা মানতে নারাজ স্থানীয় বিধায়ক। দিঘার বাসিন্দা থেকে সৈকতের ব্যবসায়ীরা কিন্তু বলছেন অন্য কথা। আগে যত্রতত্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু, এখন সেদিকে প্রশাসনের নজর নেই। কিন্তু শুধু প্রশাসনিক উদ্যোগই নয়। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজন সচেতনতা।