৮০ কোটি শিশুর রক্তে মিশে যাচ্ছে ক্ষতিকারক সিসা, UNICEF-এর তথ্য চমকে দেওয়ার মতো
পৃথিবীর তিন চতুর্থাংশ বাচ্চার শরীরে মিশে যাচ্ছে ক্ষতিকারক সিসা।


নিজস্ব প্রতিবেদন- এ পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি...। নবজাতকের কাছে এই অঙ্গীকার আমরা হয়তো করেছিলাম। কিন্তু কথা রাখতে পারিনি। আমরা ব্যর্থ। পরের প্রজন্মকে হয়তো আমরাই মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছি একটু একটু করে। এই পৃথিবীর তিন চতুর্থাংশ বাচ্চার শরীরে মিশে যাচ্ছে ক্ষতিকারক সিসা। আমরা দেখছি, জানছি, রিপোর্ট তৈরি করছি। কিন্তু রোধ করতে পারছি না। এর থেকে বড় ব্যর্থতা আর কি কিছু আছে! শিশুরা এই বিষ রক্তে নিয়েই বেঁচে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। UNICEF জানিয়েছে, সারা বিশ্বে প্রায় ৮০ কোটি বাচ্চার রক্তে মিশে যাচ্ছে ক্ষতিকর সিসা। যার ফল হতে পারে মারাত্মক।
অ্যাসিড ব্যাটারির অবৈধ পুনর্ব্যবহার বড় বিপদ ডেকে আনছে। UNICEF ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি তুলেছে। UNICEF ও Pure Earth- এর The report - The Toxic Truth: Children’s exposure to lead pollution undermines a generation of potential জানিয়েছে, সারা বিশ্বে প্রায় ৮০ কোটি বাচ্চার রক্তে সিসার স্তর পাঁচ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার বা তার থেকে বেশি দাঁড়িয়েছে। UNICEF-এর এই রিপোর্ট বলছে, পৃথিবীর তিনটি শিশুর মধ্যে একজনের রক্তে সিসার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেশি। UNICEF জানিয়েছে, বাচ্চাদের রক্তে সিসার পরিমাণ এত বেশি হয়ে গেলেন চিকিত্সার প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন- সাইকেল চালানোয় উত্সাহ দিতে ঢালাও ঘোষণা, ভারতীয় সাইকেলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
UNICEF জানিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বাচ্চারা সব থেকে বেশি পরিমাণে আক্রান্ত। শিশুদের স্বাস্থ্য ও বিকাশে বড় প্রভাব পড়তে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিসা শক্তিশালী নিউরোটক্সিন। শিশুদের মস্তিষ্কে অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে সিসা। অ্যাসিড ব্যাটারির খোলস ভেঙে মসলা ছড়িয়ে দেয় কর্মীরা। ফলে অ্যাসিড ও সিসার ধূলিকণা মাটিতে পড়ে। তর পর অপরিশোধিত সিসা উন্মুক্ত চুল্লিতে গলানো হয়। যা থেকে বিষাক্ত ধোঁয়া বের হয়। ধাতববর্জ্য থেকেই মূলত সিসা শিশুদের শরীরে প্রবেশ করছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।