Daughter sentenced to death in Dubai: 'বাবা, এটাই তোমাদের সঙ্গে শেষ কথা! আর দেখাও হবে না', ফোনের ওপারে কান্নায় ভেঙে পড়লেন...
Execution in UAE: মেয়েকে বাঁচাতে সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন বাবা-মা। যদিও শাহজাদির হাতে সময় কম। সোমবার আবু ধাবির জেলে ফাঁসি হওয়ার কথা তাঁর।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'বাবা এটাই আমার তোমাদেরকে শেষ ফোন। আর কখনও কথা হবে না।' দুবাই থেকে আসা ১ ফোনে শ্মশানের নিস্তব্ধতা উত্তরপ্রদেশের বান্দা গয়রা মুলগি গ্রামে। দুবাইয়ের আবু ধাবি জেল থেকে বাবা-মায়ের কাছে ফোন এসেছিল বছর ৩৩-এর শাহজাদির। কাঁদতে কাঁদতে সে জানায়, 'জানি না আর তোমাদের সঙ্গে কথা হবে কি না, আমাকে এখন অন্য ঘরে স্থানান্তরিত করা হবে। হয়তো আর তোমাদের ফোন করতে পারব না, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দাও, আমি তোমাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না'।
আরও পড়ুন, Bangladesh: বিদ্যুত্ পরিস্থিতি জটিল, বদলের বাংলাদেশে এবার ২৫-এর নীচে AC চালালেই লাইন কাটা হবে...
শাহজাদিকে দুবাইয়ের এক আদালত মিথ্যা অভিযোগের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ফোনে কাতর কন্ঠে পুরো বিষয় খুলে বলেন শাহজাদি, যা শোনার পর থেকেই কান্না থামছে না শাহজাদির বাবা-মায়ের। শাহজাদির বাবা, মা এখন দেশের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের কাছে দুবাইয়ে তাঁদের মেয়ের জীবন বাঁচানোর জন্যে আবেদন জানিয়েছেন। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের বান্ধা জেলার বাসিন্দা শাহজাদি। ২০২১ সালে আচমকাই তার জীবন বদলে যায়। যখন তার সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় আগ্রার বাসিন্দা আজিজ নামের একটি যুবকের। যিনি তাকে ফেসবুকে মিথ্যা প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইতে পাঠায়। ছোটবেলায় রান্নাঘরে কাজ করতে গিয়ে মুখ, শরীরের অংশ পুড়ে গিয়েছিল। বিয়ে করে চিকিৎসা করানোর প্রতিশ্রুতিও দেয় সে। তবে তা কিছুই ঘটেনি।
পরে আগরায় এক দম্পতির কাছে শাহজাদিকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন আজিজ। ২০২১ সালে ওই দম্পতি শাহজাদিকে আবু ধাবি নিয়ে গিয়েছিলেন। দেখাশোনা করতেন তাদের ৪ মাসের শিশুকে। কিন্তু হঠাত্ মারা যায় শিশুটি। দোষ গিয়ে পড়ে শাহজাদির উপর। হাজতবাস হয়। সম্প্রতি এই অভিযোগের ভিত্তিতেই দুবাইয়ের একটি আদালত শেহজাদিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
সেই দম্পতি ফৈজ এবং নাদিয়া এখন দুবাইয়ে থাকেন। শাহজাদির বাবা শাবির জেলাশাসকের কাছে মেয়েকে বাঁচানোর আবেদন করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপও দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ্স্মারকলিপিও পাঠান। তবে চিন্তা একটাই, তাদের হাতে সময় বড্ড কম।
আরও পড়ুন, Sikh Deportees: পাগড়ি খুলে, শিকলে বেঁধে আমেরিকার অবৈধ অভিবাসীদের ভারতে ফেরত! অসন্তোষ শিখ সমাজে...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)