ভূমিকম্পের ধসে নেপালে বন্যার আশঙ্কা
ভূমিকম্পের জেরে নেমেছে ধস। আর তাতেই অবরুদ্ধ হয়ে গেছে কালীগণ্ডক নদীর গতিপথ। নেপালের পাশাপাশি বিহারেও তৈরি হয়েছে বন্যার আশঙ্কা।

ওয়েব ডেস্ক: ভূমিকম্পের জেরে নেমেছে ধস। আর তাতেই অবরুদ্ধ হয়ে গেছে কালীগণ্ডক নদীর গতিপথ। নেপালের পাশাপাশি বিহারেও তৈরি হয়েছে বন্যার আশঙ্কা।
ভূমিকম্পের জেরে লাংতাং উপত্যকায় গ্রামের পর গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পিসাং উপত্যকার দিকে সতর্ক নজর রাখছে নেপাল সরকার। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি কাটাছেঁড়া চলছে। কারণ, একটাই। বন্যায় সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। লাংতাং, পিসাংয়ের পর এ বার কালীগণ্ডক নদীর পথও অবরুদ্ধ হয়ে গেল। ভূমিকম্পে আলগা হয়ে গিয়েছিল নদীখাত। শনিবার রাতে নেপালের মায়াগড়ি জেলার রামচে গ্রামের কাছে সেই টন টন পাথরের চাঁই ভেঙে পড়েছে নদীতে।বিপুল জলরাশি আটকা পড়ে রাতারাতি তৈরি হয়ে গেছে হ্রদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পে পাথরের দেওয়াল আলগা হয়ে গেছে। জমে থাকা নদীর জল তার নিজস্ব গতিপথে যেতে না পেরে আলগা পাথরের দেওয়াল ফাটিয়ে দিতে পারে। আর তাই যদি হয়, তা হলে নদী তার নতুন পথে সামনে যা পাবে সবই ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। কালীগণ্ডকের নিম্ন উপত্যকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে নেপাল সরকার। নদীর গতিপথ বদল এবং হঠাত জলপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ভারতেও। বিহারে ঢুকে কালীগণ্ডক হয়ে গেছে গণ্ডক। পটনার কাছে গঙ্গায় মেশার আগে পশ্চিম চম্পারণ, গোপালগঞ্জ, সারন, মজফ্ফরপুর ছুঁয়ে গেছে গণ্ডক। ফলে, এই চার জেলায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।