Dawood Ibrahim: দাউদের দখলে করাচি বিমানবন্দর! NIA তদন্তে জানা গেল ডি কোম্পানির বড় খবর
Karachi International Airport: পাকিস্তানের করাচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী দাউদ ইব্রাহিমের পরিবারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দাউদের টাকা শুধু করাচির রাস্তায় নয়, দেশের বিমানবন্দরেও কীভাবে কাজ করে তার এক ঝলক বিশ্ব দেখেছে।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্যের মামলার তদন্তকারী NIA দেশের পয়লা নম্বর শত্রু দাউদ ইব্রাহিম সম্পর্কে একটি বড় খবর জানিয়েছে। ডি কোম্পানি সিন্ডিকেট এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্যের তদন্তে নিযুক্ত NIA তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছে যে করাচি বিমানবন্দর ডি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দাউদ ইব্রাহিম এবং ছোটা শাকিলসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা অথবা তাদের দুই জনের সঙ্গে দেখা করতে আসা আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদেরকে এই বিমানবন্দরে পাসপোর্টে স্ট্যাম্প দেওয়া সহ অন্যান্য কোনও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় না।
আত্মীয়-স্বজন বন্ধুদের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার দরকার নেই
এনআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে যে কেউ দাউদের সঙ্গে দেখা করতে এলে করাচি বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে তাকে সরাসরি দাউদ ইব্রাহিম অথবা ছোট শাকিলের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। করাচি বিমানবন্দরে ডি কোম্পানির আধিপত্য এই বিষয়টি থেকে অনুমান করা যায় কারণ তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসা লোকেরা যখন ফিরে যায়, তখন তাদেরকে পাকিস্তানের সংযোগকারী ফ্লাইটে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স এবং স্ট্যাম্প ছাড়াই সরাসরি দুবাই অথবা অন্য উপসাগরীয় দেশে পাঠানো হয়।
এভাবেই বিশ্বকে ঠকাচ্ছে পাকিস্তান
এই ভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তান তার মাটি থেকে যে সন্ত্রাসী তৎপরতা চলছে তার কোনও খবর বিশ্বকে পেতে দেয় না। কারণ দাউদ ইব্রাহিম অথবা ছোটা শাকিল বা পাকিস্তানে পৌঁছানো ব্যক্তির সঙ্গে কারোর সঙ্গে দেখা করার কোনও আভাস বিশ্বের কোনও সংস্থা বা সরকারের নেই।
গুরুত্বপূর্ণভাবে, সম্প্রতি ডন ছোটা শাকিলের আত্মীয় সেলিম ফ্রুটকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এরপর সেলিম ফ্রুটের স্ত্রী সাজিয়া মহম্মদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। সাজিয়া এবং মুম্বইয়ে উপস্থিত একটি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের এই বিমানবন্দরগুলি আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।