Afghanistan: তালিবান ক্ষমতায় আসায় খুশি পড়শি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ, বলছে সমীক্ষা
১৩ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমীক্ষা চালানো হয়েছে। তবে তালিবানি শাসনকে সমর্থন দিতে নারাজ সিংহভাগ মহিলা।

নিজস্ব প্রতিবেদন: আফগানিস্তানে (Afghanistan) তালিবানের ক্ষমতা দখলে পাকিস্তানের হাত তো এখন সর্বজনবিদিত। সরকার গঠনের আগে কাবুলে পৌঁছে গিয়েছিলেন পাক গুপ্তচর প্রধান আইএসআই প্রধান ফায়েজ হামিদ। তাতে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে পাক-হাত। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও দরাজহস্তে সমর্থন দিয়েছেন তালিবানকে। শুধু সরকারই নয় সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকও তালিবানের সমর্থক। তেমনটাই উঠে এল একটি সমীক্ষায়।
২৪০০ জন নাগরিককে নিয়ে সমীক্ষা চালায় গালআপ পাকিস্তান (Gallup Pakistan)। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ মতদাতাই জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালিবান আসায় তাঁরা খুশি। মাত্র ২৫ শতাংশ বিরোধিতা করেছে। খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলে ৬৫ শতাংশ মতদাতা তালিবানের ক্ষমতা দখলে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন। শুধু প্রান্তিক এলাকায় নয়, শহরাঞ্চলের ৫৯ শতাংশ নাগরিকই তালিবান সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন।
১৩ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমীক্ষা চালানো হয়েছে। তবে তালিবানি শাসনকে সমর্থন দিতে নারাজ সিংহভাগ মহিলা। পক্ষে ৫৮ শতাংশ পুরুষ হলেও বিপক্ষে ৩৬ শতাংশ পাক নারী। .
২০ বছর পর ১৫ অগাস্ট কাবুলের ক্ষমতায় ফিরেছে তালিবান। সে দেশে শরিয়তি শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে তারা। ইতিমধ্যেই মহিলাদের শিক্ষা ও চাকরিতে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানের মদতেই আফগানিস্তানে তালিবানের আধিপত্য বিস্তার যে সম্ভব হল, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তালিবদের কাজে লাগিয়ে কাশ্মীরে পাকিস্তান অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন- Afghanistan: ভারত বাদ! চিন, রাশিয়া-সহ ৭ দেশের গুপ্তচর-প্রধানদের নিয়ে বৈঠক ISI-র