WB Assembly Election 2021: Central Force-কে আড়াই ঘণ্টা ঘোরানোর পর অবশেষে দেখা দিলেন 'নজরবন্দি' Anubrata
বুধবার সকালের একটু পরেই বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mandal)। উদ্দেশ্য জেলার বিভিন্ন পার্টি অফিস।

নিজস্ব প্রতিবেদন: সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা লুকোচুরি খেলার পর শেষপর্যন্ত খোঁজ মিলল 'নজরবন্দি' অনুব্রত মণ্ডলের। রীতিমত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘামিয়ে দিয়ে অনুব্রত শেষপর্যন্ত দেখা দিলেন তারাপীঠ মন্দিরে।
আরও পড়ুন-Covid চিকিত্সায় বেসরকারি হাসপাতালগুলির ১৩৬৭ বেড অধিগ্রহণ করল রাজ্য সরকার
আগামিকাল বীরভূমের ১১ আসনে ভোটগ্রহণ। তার আগেই আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে নজরবন্দি করেছে কমিশন। বুধবার সকালের একটু পরেই বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mandal)। উদ্দেশ্য জেলার বিভিন্ন পার্টি অফিস। তাঁর সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়িও। কিন্তু কিছুক্ষণ যাওয়ার পর একটি রাস্তার বাঁকে উধাও হয়ে যায় তাঁর গাড়ি। দীর্ঘক্ষণ তাঁর গাড়ি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেও তা খুঁজে বের করতে পারেনি কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Force)।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা কোথায় ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল? তিনি কি মন্দিরেই ছিলেন? নাকি অন্য কোথাও? দলীয় সূত্রে খবর, নানুরে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে লাভপুর। সেখান থেকে তিনি চলে যান ইলামবাজার। তার পর সেখানে থেকে তিনি চলে আসেন তারাপীঠে। সেখানে পুজোও দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। মন্দির থেকে বেরিয়ে দরজায় মাথা ঠেকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। মন্দির থেকে বেরিয়ে তিনি চলে আসেন তারাপীঠের ইন্দ্রানী লজে।
আরও পড়ুন-খেলা শুরু! 'নজরবন্দি' হয়েও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরের বাইরে Anubrata
ঠিক কারণে এই লুকোচুরি তা বোঝা যাচ্ছে না। এনিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তারাপীঠে পুজো দিতে এসেছিলাম। মায়ের কাছে যা চাওয়ার তা চেয়েছি। এটা সবাইকে বলার নয়।
ইন্দ্রানী লজ থেকে অনুব্রতর গন্তব্য কোথায়? দলীয় সূত্রে খবর, জেলার বিভিন্ন পার্টি অফিস ও বুথে যাবেন তিনি। কথা বলবেন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে।