WB Assembly Election 2021: খেলা শুরু! 'নজরবন্দি' হয়েও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরের বাইরে Anubrata
আগামিকাল বীরভূমের ১১ আসনে ভোটগ্রহণ। তার আগেই আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে নজরবন্দি করেছে কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদন: খেলা হবে বলেছিলেন। খেলা বোধ হয় শুরু করে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। 'নজরবন্দি' হয়েও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরের বাইরে অনুব্রত। সকাল গড়তেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে লুকোচুরি খেলা শুরু করে দিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি।
আরও পড়ুন-মৃতের সংখ্যায় রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯৬০ জন
উল্লেখ্য, আগামিকাল বীরভূমের ১১ আসনে ভোটগ্রহণ। তার আগেই আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে নজরবন্দি করেছে কমিশন। বুধবার সকালের একটু পরেই বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mandal)। উদ্দেশ্য জেলার বিভিন্ন পার্টি অফিস। তাঁর সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়িও। কিন্তু কিছুক্ষণ যাওার পর একটি রাস্তার বাঁকে উধাও হয়ে যায় তাঁর গাড়ি। দীর্ঘক্ষণ তাঁর গাড়ি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেও তা খুঁজে বের করতে পারেনি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরকম এক কাণ্ডে চাপে পড়ে গেল বাহিনী।
আরও পড়ুন-'কোনও ঘাটতি নেই', যোগী আদিত্যনাথের ঘোষণার পর Oxygen-র অভাবে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮
দলীয় সূত্রে জি ২৪ ঘণ্টার কাছে খবর ছিল তিনি নানুরে গিয়েছেন অনুব্রত। কিন্তু পরে জানা যায় তিনি নানুরে এলেও সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। গিয়েছেন লাভপুরের দিকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীও(Central Force) লাভপুরের দিকে গিয়েছে। ঠিক কারণে এই লুকোচুরি তা বোঝা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেও এর কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। অনুব্রতর নিরাপত্তারক্ষীরাও ফোন ধরছেন না। ফলে রীতিমতো একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি এখন ইলামবাজারের দিকে যাচ্ছেন। কতক্ষণে তাঁকে কেন্দ্রীয় বাহিনী খুঁজে বের করতে পারবে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।
নজরবন্দি করা হলেও আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত। মঙ্গলবার নজরবন্দি করা নিয়ে জি ২৪ ঘণ্টাকে অনুব্রত বলেন, নজরবন্দি করা হয়েছে। এবার খেলাও হবে ভয়ঙ্কর খেলা। যারা থাকবে তারাও খেলবে। ভোটের দিন আমি কোথাও বের হই না। পার্টি অফিসে থাকি। বুঝতে পারছি না কেন ওরা এতটা ভয় পাচ্ছে ছায়া দেখলেও ওদের ভয়। সিআরপিএফ ভাইরা যখন রোদে দাঁড়িয়ে থাকে তখন ওদের দেখে কষ্ট হয়। কাল যখন পার্টি অফিসে যাব তখন তো ওরা পার্টি অফিসে ঢুকতে পারবে না। বাইরে রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।