Kolaghat Teacher Suicide: মেসেজ করে ক্রমাগত ঋণ পরিশোধের চাপ, চোর অপবাদ! আত্মঘাতী স্কুল শিক্ষক
পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, একটি নম্বর থেকে বারে বারে হুমকি মেসেজ পাঠানো হতো বাপ্পাকে। সেইসব মেসেজে লেখা হতো, একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে মোটা অংকের টাকার লোন নিয়েছেন বাপ্পা। সেই টাকা পরিশোধ করেনি। তিনি চোর

কিরণ মান্না: ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকা ঋণ নিয়ে শোধ করেননি। মোবাইলে এমনই মেসেজ আসতো প্রায়ই। শুধু তাই নয়, ঋণের টাকা শোধ করেননি এই খবরটা মেসেজ করা হচ্ছিল পরিচিতদের কাছেও। এই চাপের মধ্যে কোলাঘাটে আত্মঘাতী এক স্কুল শিক্ষক। এর পাশাপাশি আরও একটি তত্ব উঠে আসছে। সেটি হল কেউ বা কারা দেঁড়িয়াচ গ্রামের শিক্ষক বাপ্পা বর্মনের মোবাইলে মেসেজ করছিল যে সে একজন ভুয়ো শিক্ষক। ফলে আত্মহত্য়া কী কারণ তা নিয়ে এখন ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন বাপ্পা।
আরও পড়ুন-শিলিগুড়িতে মেয়রের বাড়ির পাশেই মৃত্যু ডেঙ্গি আক্রান্ত ব্যক্তির
কোলাঘাট পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, একটি নম্বর থেকে বারে বারে হুমকি মেসেজ পাঠানো হতো বাপ্পাকে। সেইসব মেসেজে লেখা হতো, একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে মোটা অংকের টাকার লোন নিয়েছেন বাপ্পা। সেই টাকা পরিশোধ করেনি। তিনি চোর। গতকাল স্কুল থেকে ফিরে স্ত্রীকে জানিয়েছিল এইসব কথা। মেসেজগুলি ভাইরালও করা হয়েছে। যার ফলে আত্মমর্যাদায় লেগেছে বলে অনুমান পুলিসের। একাধিক নম্বর থেকে ফোনে চোর বলে হুমকিও আসতো। ইদানিং বেশ কয়েকদিন শিক্ষকের মোবাইলটি হ্যাক করা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে দাবি। দিনের পর দিন এই ধরনের ঘটনা চলতে থাকায় বাপ্পা আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান পুলিসের। তবে চাকরি চলে যাওয়ার ভয় ছিল কিনা বা চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও সমস্যা ছিল কিনা তা এখনও জানতে পারেনি পুলিস। আগামিকাল স্কুল খুললে পুলিস স্কুলে গিয়ে তা জানার চেষ্টা করবে।
কাঁথির ভবানীপুর অঘরচাঁদ হাই স্কুলের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক ছিলেন বাপ্পা বর্মন। এলাকার জনপ্রতিনিধি তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে স্কুল সংক্রান্ত বিষয় নয়, বিভিন্ন ভাবে ফোনে হুমকি এবং লোন পরিশোধের জন্য চাপ মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
অন্যদিকে, লোনের টাকা শোধ করতে চাপ দেওয়ার পাশাপাশি আরও একটি বিষয় নিয়ে বাপ্পার উপরে চাপ সৃষ্টি করা হতো বলে দাবি স্থানীয়দের। বাপ্পার কাছে নাকি মেসেজ আসতো, সে একজন ভুয়ো শিক্ষক। সেই কথা তার পরিচিতদের কাছেও পাঠিয়ে দেওয়া হতো।