Jalpaiguri: সন্ধে হলেই টিনের চালে পড়ছে ইটপাটকেল, টানা ৪২ দিন আতঙ্কে জলপাইগুড়ির একাধিক পরিবার
Jalpaiguri: কেউ কেউ গোটা বিষয়টিকে ভৌতিক বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাকে খুব বেশি আমল দিচ্ছে না পরিবারগুলি। কে বা কারা ঢিল ছুড়ছে তার জন্য চলছে পাহারা। কিন্তু সমস্যার কোনও হাল হয়নি।

প্রদ্যুত্ দাস: সন্ধে হলেই তাণ্ডব শুরু। আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কনপাকড়ি সরকার পাড়ার কয়েকটি পরিবারের। কে, কেন ইট পাটকেল ছুড়ছে তা এখনও ধরা পড়েনি। তবে আতঙ্ক বাড়ছে রোজই। খবর শুনে হাজির হয়েছিল পুলিসও। কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন-ফের কালবৈশাখীর সম্ভাবনা, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
স্থানীয়দের দাবি, একটানা ৪২ দিন ধরে চলছে ওই কাণ্ড। রাতে ঘুমাতে পারছেন না বজেন্দ্রলাল রায়, নীলকমল রায়, গজেন্দ্রলালের পরিবার। প্রতি প্রতি রাতেই টিনের চালে পড়ছে পাছর। তা গড়িয়ে এসে পড়ছে মাটিতে। এলেপাথাড়ি ছিল থেকে বাঁচতে বাড়ির আঙিনায় টাঙানো হয়েছে ত্রিপল। সেই ত্রিপলই এখন মাথা বাঁচাচ্ছে পরিবারের লোকজনের।
কেউ কেউ গোটা বিষয়টিকে ভৌতিক বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাকে খুব বেশি আমল দিচ্ছে না পরিবারগুলি। কে বা কারা ঢিল ছুড়ছে তার জন্য চলছে পাহারা। কিন্তু সমস্যার কোনও হাল হয়নি। এমন উদ্ভট জিনিসের কথা জানেন পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে পুলিস পর্যন্ত। খবর পেয়ে পুলিস এলেও সমস্যার কোনও কিনারা হয়নি। কারা ঢিল ছুড়ছে, পেছনে কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে কিনা তা নিয়েও কারও কারও মনে প্রশ্ন উঠছে।
সোমবার আতঙ্কিত পরিবার গুলির সঙ্গে দেখা করতে সরকার পাড়ায় যান জাতীয় মানবাধিকার পর্ষদের সদস্যরা। এদিন তারা এই এলাকা ঘুরে দেখেন এবং আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। জাতীয় মানবাধিকার পর্ষদের সদস্য নিহার মজুমদার বলেন, এখানে এসে যা দেখলাম এক অমানবিক পরিবেশে তিনটি পরিবার বাস করছে। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে প্রশাসনের এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। পুলিশ প্রশাসনকে জানানো সত্বেও এখনো পর্যন্ত ঘটনার নিষ্পত্তি ঘটলো না। এখন সমাজ উন্নত, গ্রাম উন্নত সেখানে দাঁড়িয়ে এতটাই পৈশাচিকভাবে জীবন যাপন করতে হচ্ছে এটা খুবই লজ্জার।