একে-একে সবক'টি চা-বাগানেই বইবে খুশির হাওয়া; বৃষ্টিমুখর চা-বাগানে এসে জানালেন বেচারাম মান্না
চা-শ্রমিকেরা যাতে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারেন সেটাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য।

নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার এসেছিলেন শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে। মঙ্গলবার ঘুরে গেলেন বহু দিন বন্ধ থাকার পরে ডুয়ার্সের নতুন করে খোলা এক চা-বাগানে। সেখানে এসে বেচারাম মান্না সন্তোষ প্রকাশ করেন। বলেন, ধীরে ধীরে পুরো টি-বেল্টেই বইবে খুশির হাওয়া।
ডুয়ার্সের মানাবাড়ি, বাগরাকোট চা-বাগানের মতো সমস্ত বন্ধ চা-বাগান খুলে যাবে। এভাবেই মেটেলি ব্লকের কিলকোট ও নাগেশ্বরী-সহ অন্যান্য বন্ধ চা-বাগানও জটিলতা কাটিয়ে সচল হয়ে উঠবে। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) সমস্ত চা-বাগানে একই পরিবেশ বিরাজ করবে। মঙ্গলবার বৃষ্টিমুখর দিনে ডুয়ার্সের মাল ব্লকের মানাবাড়ি চা-বাগানে এসে এমন কথাই জানালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি বাড়লে ডুবে যেতে পারে নাগরাকাটার লাল ঝামেলা বস্তি
আজ, মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানাবাড়ি চা-বাগানে আসেন বেচারাম মান্না (Becharam Manna)। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন অনগ্রসর উন্নয়ন ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক, তৃণমূল কংগ্রেস শ্রমিক নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি দুলাল দেবনাথ-সহ শ্রম দপ্তরের আধিকারিকেরা।
এ দিন মানাবাড়ি চা-বাগানে দুই মন্ত্রী ও অন্যান্যদেরও স্থানীয় রীতি মেনে বরণ করে নেন চা-বাগানের শ্রমিকরা। তাঁদের মাথায় পরানো হয় পাগড়ি। আদিবাসী এবং নেপালি নৃত্য পরিবেশন করেন শ্রমিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা। এরপর মন্ত্রী বেচারাম মান্না চা-বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাপ্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'এই মানাবাড়ি চা-বাগানে (Tea-Garden) পাঁচ বছর অচলাবস্থা চলছিল। গত ডিসেম্বর মাসে এই চা-বাগান নতুন মালিকানার অধীনে খোলা হয়েছে। এখন এর অবস্থা আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। শ্রমিকদের মুখে হাসি ফুটেছে। বাগান খোলার পর শ্রমিকরা কেমন আছেন, তা সরেজমিনে দেখতেই এবার এখানে আসা।'
বেচরাম আরও বলেন, 'আগামী ১ জুলাই থেকে বাগরাকোট চা-বাগানও খুলে যাচ্ছে। তারপর আইনি জটিলতা কাটিয়ে একে একে কিলকোট, নাগেশ্বরী-সহ অন্যান্য চা-বাগানগুলিও খোলা হবে। অচিরেই সমস্ত চা-বাগানে একই খুশির পরিবেশ বিরাজ করবে। শ্রমিকেরা যাতে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারেন সেটাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য।'
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: জল বেড়েছে সুখানি নদীতে, যোগাযোগবিচ্ছিন্ন কয়েকশো পরিবার