Goghat: চড়াও দলেরই কর্মীরাই, বিডিও অফিস থেকে মারধর করে বের করা হল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে
শ্যামলী ঘোষের আরও অভিযোগ, আমাদের সহ-সভাপতি শুভেন্দুর হাত ধরে ভোটের আগে বিজেপিতে গেল। আর এখন উনি তৃণমূলের বড় নেতা হয়ে গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদন: দলের কর্মীদের হাতেই হেনস্থার শিকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। মারধর করে বিডিও অফিস থেকে বের করে দেওয়া হল তাঁকে। তাঁকে বাঁচাতে এসে মার খেলেন দলের আরও দুই মহিলা নেতা। সোমবার ওই ঘটনার জেরে গোঘাট বিডিও অফিস চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নাম মনোরঞ্জন পাল। আক্রান্ত দুই কর্মাধ্যক্ষের নাম শ্যামলী ঘোষ ও ময়না বাগ। শ্যামলী ঘোষ বনভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ এবং ময়না বাগ স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন-Tripura: ''কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই হামলা'', ত্রিপুরা কাণ্ডে বিস্ফোরক Mamata
আক্রান্ত সভাপতি মনোরঞ্জন পালের অভিযোগ, দলের এক শ্রেণীর কর্মী, সহ সভাপতি ও এখানকার প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার ও অন্যান্য নেতাদের ইন্ধনে আমাদের ওপরে এই ভাবে আক্রমণ করা হয়। কী কারণে ওরা এই ভাবে আমাদের ওপরে আক্রমণ করল তা আমার জানা নেই। শুধুমাত্র ক্ষমতার লড়াইকে কেন্দ্র করে ওরা আমাদের ওপরে এই আক্রমণ করল।
বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ তথা গোঘাট ১ নং ব্লকের তৃণমূল নেত্রী শ্যামলী ঘোষের অভিযোগ, আমাকে যে ভাবে অপমানিত করা হয়েছে তা বলার আমার ভাষা নেই। এখানকার প্রাক্তন বিধায়ক, ব্লক সভাপতি নারায়ণ পাঁজার ইন্ধনে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি শ্রীমন্ত রায়ের দলবল জনা পঞ্চাশেক লোক আমাদের মারল। আমাকে তীব্র হেনস্থা করল। আমি একজন মহিলা। অথচ ছেলেদের দিয়ে আমাকে আক্রমন করাল ওরা। মেয়েরা মারলেও মেনে নিতাম। পুরুষ মানুষ হয়ে বিডিও অফিসে সবার সামনে মারধর করা ও অপমান করাটা আমি একদম মানতে পারছিনা।
আরও পড়ুন-Tokyo Olympics 2020: সফলতম অলিম্পিক্সের পর ভারতে ফিরল টিম ইন্ডিয়া
শ্যামলী ঘোষের আরও অভিযোগ, আমাদের সহ-সভাপতি শুভেন্দুর হাত ধরে ভোটের আগে বিজেপিতে গেল। আর এখন উনি তৃণমূলের বড় নেতা হয়ে গেছেন। আমি ১৯৯৮ সাল থেকে পার্টি করছি। বহু মার খেয়েছি। ঘরছাড়া হয়েছি সিপিএমের আমলে ৷ আর আজ আমার দলের ছেলেরা আমাকে মারল। এটাই বোধ হয় পাওনা ছিল। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাচ্ছি। উনি একজন মহিলা, তাঁর শাসনে আমাদের মত মহিলাদের তাহলে নিরাপত্তা কোথায়? আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এই বিষয়ে গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)