রোজ তৈরি হবে ৪০,০০০ জনের খাবার, ডায়মন্ডহারবারে ২১ কমিউনিটি কিচেন চালু করছেন অভিষেক
করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলেছে লকডাউন। ফলে সাধারণ খোটেখাওয়া, দিন আনি দিন খাই মানুষ প্রবল বিপাকে। তারা না পাচ্ছেন কাজ, না তাদের ঘরে রয়েছে মজুত খাবার। এরকম এক অবস্থায় নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে কল্পতরু প্রকল্প চালু করছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলেছে লকডাউন। ফলে সাধারণ খোটেখাওয়া, দিন আনি দিন খাই মানুষ প্রবল বিপাকে। তারা না পাচ্ছেন কাজ, না তাদের ঘরে রয়েছে মজুত খাবার। এরকম এক অবস্থায় নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে কল্পতরু প্রকল্প চালু করছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-‘মাস্ক পরেন না কেন? বয়স হয়েছে আপনার’, মমতার ‘শাসনে’ আপ্লুত বিমান বসু
কী রয়েছে ওই প্রকল্পে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র আগামী ১২ এপ্রিল থেকে চালু করা হবে ২১টি কমিউনিটি কিচেন। এই কিচেনে ৪০,০০০ মানুষের খাবার তৈরি করা হবে। খাবার দেওয়া চলবে ১২ দিন ধরে। মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে রান্না করা খাবার। আগামী ৯ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে ওই খাবারের জন্য আবেদন করতে পারবেন গরিব মানুষ। আবেদন করা যাবে 0৩৩ ৪০৮৭ ৬২৬২ নম্বরে। এমনটাই ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের বক্তব্য, ‘যতদিন আমি বেঁচে থাকব ততদিন কেউ অনাহারে মারা যাবেন না।’ ওই ফোন নম্বরে ফোন করলে স্বেচ্ছাসেকরা খাবার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবে।
মঙ্গলবার এক ফেসবুক লাইভে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই মহামারীতে আমরা অনেককে হারিয়েছি। অনুরোধ করব, কী হবে না হবে তা ঈশ্বরের হাতে। এনিয়ে আতঙ্কে ভুগলে চলবে না। বরং একটু সচেতনাতার সঙ্গে জীবনযাপন করি তাহলে আমার ভাইরাস থেকে বাঁচতে পারব।
আরও পড়ুন-Live: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৬৯, মৃত ৫ | দেশে আক্রান্ত ৪৪২১, মৃত ১১৭
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ডায়মন্ডহারবারের সবাই আমার পরিবারের মতো।এখানকার ১৮ লাখ মানুষের জন্য কাজ করা আমার কর্তব্য। এই পরিস্থিতিতে মাঠে নেমে কাজ করা যায় না। কিন্তু থালা বাজিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে কোনও গরিব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারব না। কাউকে ছোট না করেই বলছি, কারও বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিলে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারব। তাই এই উদ্যোগ।