Bus Accident: উত্তরভারতে বেড়াতে গিয়ে সীতাপুরে খাদে পড়ল বাস, আশঙ্কাজনক চন্দ্রকোনার ২০ পর্যটক
Bus Accident: গোবিন্দবাবু আরও বলেন, আমার বাড়ি থেকে ৩ জন গিয়েছিল। বাবা-মা-ছোট মাসি। বাবা-মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মায়ের আঘাত গুরুতর। ওরা কী পরিস্থিতিতে রয়েছেন তা বুঝতে পারছি না

চম্পক দত্ত: পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থেকে উত্তরভারত বেড়াতে বেরিয়েছিলেন ৬০ জন। বেড়ানো শেষ হয়েও গিয়েছিল। কিন্তু ঘরে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী বাস। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি একটি খাদে পড়ে যায়। ভেতরে তালগোল পাকিয়ে যান যাত্রীরা। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। পুলিস তাদের হাসপাতালে ভর্তি করলেও সেখানে কোনও চিকিত্সা হচ্ছে না বলে দাবি এক আহতের আত্মীয়র। অনেকের টাকাও শেষ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-অধীরগড়ে ভাঙন, রানিনগরে স্থায়ী সমিতি গঠনের আগে ম্যাজিক ফিগারে তৃণমূল
বেড়ানো শেষ হওয়ার পর ফেরার পথে লখনউ পার করার পর ৯ অগাস্ট ভোররাতে যাত্রীবাহী বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উত্তর প্রদেশের সীতাপুর থেকে শখানেক কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনাস্থলটি। এরপর শুরু হয়ে আরও সমস্যার। আহত যাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি অন্যান্যদের একচি ধর্মশালায় নিয়ে দিয়ে রাখা হয়। কিন্তু একদিন রাখার পরই তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।
চন্দ্রকোনার গোবিন্দ পান নামে এক যুবকের বাবা-মা ও মাসি ছিলেন ওই দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটিতে। তিনি বলেন, বাসে ৬০ জন যাত্রী ছিল। ওরা গোটা উত্তরভারত ঘুরতে গিয়েছিল। বেড়ানো শেষ ফিরছিল। লখনউ পার করার পর সীতাপুর থেকে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরে বাসটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ৯ অগাস্ট ভোরের দিকে। খবর পেয়ে পুলিস যাত্রীদের উদ্ধার করে কয়েকজনকে হাসপাতালে, কয়েকজনকে ধর্মশালাতে গিয়ে রাখে। গতকাল আবার তাদের ধর্মশালা থেকে বের করে দিয়েছে। যারা সুস্থ তারও ঝামেলায় পড়েছে। যারা হাসপাতালে ভর্তি তারাও সমস্যায় পড়েছে। ভাষার সমস্যা হচ্ছে। কারও কাছে টাকা পয়সা রয়েছে। কারও কাছে তাও নেই। খাবারের অভাব। অনেকে চিকিত্সাও পাচ্ছে না। এদের মধ্যে ২০ জনের আঘাত গুরুতর। ১০ জন হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন। অনেকের কাছে ফোন থাকলেও তাতে চার্জ নেই। ফলে ঘরে কথাও বলতে পারেছেন না অনেকে।
গোবিন্দবাবু আরও বলেন, আমার বাড়ি থেকে ৩ জন গিয়েছিল। বাবা-মা-ছোট মাসি। বাবা-মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মায়ের আঘাত গুরুতর। ওরা কী পরিস্থিতিতে রয়েছেন তা বুঝতে পারছি না। ওখানে সরকার কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। গাড়ির মালিককে পাওয়া যাচ্ছে না। কার কাছে সাহায্য চাইব বুঝতে পারছি না। আমাদের রাজ্য সরাকার যদি কিছু করে তাহলে উপকার হয়।