Madhya Pradesh Horror: POCSO আইনেও ফাঁসিতে ঝোলেনি 'সিরিয়াল রেপিস্ট', বেরিয়ে এসেই লালসা মিটিয়ে 'খুন' নাবালিকাকে...

১১ বছরের ওই মূক ও বধির নাবালিকা বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরের দিন তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির কাছের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে 'সিরিয়াল রেপিস্ট' রমেশ! 

Updated By: Feb 20, 2025, 12:34 PM IST
Madhya Pradesh Horror: POCSO আইনেও ফাঁসিতে ঝোলেনি 'সিরিয়াল রেপিস্ট', বেরিয়ে এসেই লালসা মিটিয়ে 'খুন' নাবালিকাকে...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  একাধিকবার নারকীয় ধর্ষণ, তারপরও বারবার ছাড়! আগে ৫ ও ৮ বছরের শিশুকন্যাকে হাড়হিম ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মধ্যপ্রদেশের বর্বর রমেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে। ৫ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতনের অপরাধে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখান থেকে বেরিয়েই ১ বছরের মধ্য়ে ফের ৮ বছরের মেয়েকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে। সেই অপরাধে নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দেয়। কিন্তু ২০১৯ সালে ‘টেকনিক্যাল’ কারণে হাই কোর্টে তার সাজা বাতিল করে দেয়। এবার তারই মাশুল গুনতে হল এক মূক ও বধির নাবালিকাকে।

১ ফেব্রুয়ারি রাতে ১১ বছরের ওই মূক ও বধির নাবালিকা বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরের দিন তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির কাছের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়। নির্যাতিতার ডাক্তার পরীক্ষায় জানা যায়, তাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। চিকিত্‍সাধীন অবস্থাতেই ৮ ফেব্রুয়ারি নির্যাতিতা মারা যায়।

ঘটনার তদন্তে পুলিস নেমে ৪৬ জায়গার ১৩৬ সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখে। যেখানে অভিযুক্তকে লাল শাল, নীল-কালো জুতো পরে ঘটনাস্থলে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। পুলিস পরে তাকে রমেশ বলে শনাক্ত করে। একজন অটোচালক পুলিসকে জানায় যে, সে কুরাওয়ার থেকে নরসিংগড় গিয়েছে।

আরও পড়ুন:Yashtika Acharya: কাঁধে ওজন নেওয়ার খেলায় ১৭ বছরের কিশোরী! আচমকাই মর্মান্তিক ঘটনা...

১৬ টি পুলিস দল তাকে ধাওয়া করে। শেষমেষ উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে তার খোঁজ পাওয়া যায়। যেখানে নাকি সে পুণ্যস্নান করতে যায়। অবশেষে তাকে জয়পুরগামী চলন্ত ট্রেন থেকে পাকড়াও করে পুলিস। রাজগড়ের এসপি আদিত্য মিশ্র বলেন, 'পুলিস একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে। প্রমাণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা হচ্ছে।'

রমেশ পোলাইকালার ডাবরিপুরার বাসিন্দা। ২০০৩ সালে  শাজাপুর জেলার মুবারিকপুর গ্রামে ৫ বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণ করে। তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৩ সালে তার সাজা ভোগ করে মুক্তি পেয়ে যায়। তারপরে সে শুধরে যায়নি। জেলমুক্তির ১ বছর পরই, ২০১৪ সালে আশতা (সেহোর) থেকে ৮ বছরের এক মেয়েকে অপহরণ করে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে। নিম্ন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। কিন্তু ২০১৯ সালে ‘টেকনিক্যাল’ কারণে হাই কোর্টে সাজা লাঘব হয় রমেশের। এরপরই ফের একই নৃশংস কাণ্ড।

এবার প্রশ্ন উঠছে আইনের গাফিলতির। বারবার কী করে এই বর্বর রমেশ ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে? এবারে কী রমেশ তার কর্মের সঠিক শাস্তি পাবে? 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.