Manipur Violence: মৃত্যু ৫৪, থমথমে মণিপুর! দাউদাউ জ্বলছে অশান্তির আগুন...
Manipur Violence: আর কত বাড়বে মৃত্যু? ইম্ফলের হাসপাতালগুলির মর্গে এবং চূড়াচাঁদপুর জেলার হাসপাতালের মর্গগুলিতে এখনও পর্যন্ত মোট ৫৪টি দেহ এসেছে! যদিও নিরাপত্তা বাহিনী ও মণিপুর সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা জানানো হয়নি। কিন্তু তাতে কী? আগুন তো নিবছে না!
Updated By: May 7, 2023, 11:58 AM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মণিপুর হিংসার জেরে এখনও পর্যন্ত মোট ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে দাউদাউ করে জ্বলছে অশান্তির আগুন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কোথাও কোথাও কার্ফুও জারি করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের একাংশে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের সরকারি চেষ্টার মধ্যেই শুক্রবার রাতভর নতুন করে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। মণিপুর পুলিস জানায়, শুক্রবার রাতে নতুন করে হিংসার ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাজধানী ইম্ফলের হাসপাতালগুলির মর্গে এবং চূড়াচাঁদপুর জেলার হাসপাতালের মর্গগুলিতে মোট ৫৪টি দেহ এসেছে! যদিও নিরাপত্তা বাহিনী ও মণিপুর সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা জানানো হয়নি।
চূড়াচাঁদুপর জেলার হাসপাতালের মর্গে ১৬টি মরদেহ ও পূর্ব ইম্ফলের জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে ১৫টি দেহ রয়েছে। পশ্চিম ইম্ফলে দ্য রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে রয়েছে আরও ২৩টি দেহ। চূড়াচাঁদপুরে তিন ঘণ্টার জন্য কার্ফু তোলে সরকার। রবিবার সকালে এই তিন ঘণ্টা সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোতে পেরেছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সুযোগ দেওয়ার জন্যই সাময়িক কার্ফু তুলে নেওয়া। মণিপুর রাজ্য পুলিসের তরফে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনছে। সেনাবাহিনীও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীরা শহরের কয়েকটি জায়গায় যানবাহন ও বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। কারফিউ থাকায় রাস্তায় তেমন কোনো মানুষজন নেই। শুধু পড়ে আছে পোড়া যানবাহন, ভাঙা টুকরো-টাকরা।
দীর্ঘদিন ধরে মণিপুরের সমতলের বাসিন্দা মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর বিরোধ চলছে। তফসিলি উপজাতিদের তালিকাভুক্ত হওয়া মেইতেই সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি। সম্প্রতি হাইকোর্ট মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিভুক্তর তালিকায় আনা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। এর পরেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। হাইকোর্টের নির্দেশের প্রতিবাদে বুধবার চূড়াচাঁদপুর জেলার তোরবাঙে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর’ (এটিএসইউএম) ‘আদিবাসী সংহতি পদযাত্রা’র ডাক দেয়। সেখান থেকেই এই হিংসার সূত্রপাত। বুধবার রাত থেকেই সেখানে পরিস্থিতি মুহূর্তে-মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল।