মেহসানায় প্রত্যাবর্তন কংগ্রেসের, জন্মস্থানেই জোর ধাক্কা খেলেন মোদী
গুজরাটে ফল বেরানোর একমাস বাদেই পুরসভা হাতছাড়া হল বিজেপির।

ওয়েব ডেস্ক: মোদীর জন্মস্থানেই বিজেপির হাত থেকে পুরসভা ছিনিয়ে ধাক্কা দিল কংগ্রেস। গেরুয়া শিবিরের ১০ জন কাউন্সিলর যোগ দিলেন রাহুল গান্ধীর দলে।
মেহসানার রাজনৈতিক গুরুত্ব বিশাল। প্রধানমন্ত্রীর জন্মস্থান বডগাঁও এই বিধানসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত। পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দিবেন পটেল ও বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল মেহসানা থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, মেহসানায় পটেল সম্প্রদায়ের প্রভাব বেশ ভাল। ২০১৫ সালে হার্দিক পটেলের পাতিদার সংরক্ষণ আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল এই মেহসানা।
২০১৫ সালের নভেম্বরে মেহসানায় ৪৪টির মধ্যে ২৯টি আসন পায় কংগ্রেস। একবছর পুরসভা চালানোর পর বিক্ষুব্ধ ১০ জন কংগ্রেস কাউন্সিলরকে ভাঙিয়ে পুরবোর্ড গঠন করে বিজেপি। ফের বিজেপির হাত থেকে পুরসভার দখল নিল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- হিন্দু বিদ্বেষ থেকে আরএসএস-বিজেপিকে 'হিন্দু সন্ত্রাসবাদী' বলেছেন সিদ্দারামাইয়া, তোপ সম্বিতের
গুজরাটে বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে কড়া টক্করের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। হার্দিক, জিগনেস ও অল্পেশকে সঙ্গে নিয়ে বেগ দিয়েছিলেন বিজেপিকে। ৯৯টি আসন পেয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। তবে ভোটের পরই দফতর বণ্টন নিয়ে উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেলের বিক্ষোভের মুখে পড়েন মোদী-শাহ। অর্থ দফতর দিয়ে নিতিনকে কোনওরকমে রাখা হয়। তবে ইতিমধ্যেই গুজরাট বিভিন্ন অঞ্চলে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। মন্ত্রিত্ব প্রাপ্তি নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বকে অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ গুজরাটে বিজেপি নেতৃত্বও।