Assam Meghalaya Flood: বন্যা-পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অসম-মেঘালয়ে; বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
অসমে ব্রহ্মপুত্র, সুবর্ণসিরি, মানস-সহ পাঁচটি বড় নদ-নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্যা-পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। এর মধ্যে অসম ও মেঘালয়ের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এই দুই রাজ্যে বন্যায় এখনও পর্যন্ত ৪২ জন মারা গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ।
অসমের ৩৩টি জেলার মধ্যে ৩২টিই বন্যাপ্লাবিত। সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, বন্যায় রাজ্যের ৪০০০ বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত। আক্রান্ত প্রায় ৩১ লাখ মানুষ। এঁদের মধ্যে দেড় লাখ মানুষ ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে পেরেছেন।
অসমে ব্রহ্মপুত্র, সুবর্ণসিরি, মানস-সহ পাঁচটি বড় নদ-নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজ্যের জলসম্পদমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। লোকজনকে সাহায্য করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। ভুক্তভোগী মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য বন্যাকবলিত জেলাগুলিতে অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হচ্ছে। বন্যা-পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
মেঘালয়ে বন্যায় কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যার জেরে ঘটা ভূমিধসের কারণে দুটি প্রধান জাতীয় সড়ক সেখানে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে গত শুক্রবার তৃতীয়বারের মতো সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বন্যায় অনেকেই মারা গিয়েছেন। মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Petrol-Diesel Price: তেলের দাম কমায় লোকসান হচ্ছে বেসরকারি তেল কোম্পানিগুলির, ফের বাড়ছে তেলের দাম?