হাতি তাড়াতে আগুনের ব্যবহার নয়, 'সুপ্রিম' নির্দেশে চাপে বন কর্তারা
পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক, ঝাড়খণ্ডে হাতি তাড়ানোর নামে অত্যাচারের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা।

নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতি তাড়াতে আর আগুনের ব্যবহার করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের জেরে বেকায়দায় বন দফতর। বিনা আগুনে কীভাবে তাড়ানো যাবে হাতি, ভাবতেই পারছেন না বনকর্তারা। হলফনামা দিয়ে শীর্ষ আদালতে বক্তব্য পেশের আগে এখন আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন তাঁরা।
উত্তরবঙ্গই হোক বা জঙ্গলমহল। রাজ্যে একাধিক জেলায় হাতি নিয়ে ঘর করতে বাধ্য হন মানুষ। হাতি তাড়াতে মশাল, ক্যানেস্তারা নিয়ে নেমে পড়েন গ্রামবাসীরা। বনদফতর, হুলা পার্টির নজরদারি। তবুও ফি বছর হাতির হানায় নষ্ট ফসল। প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ বাড়ে সাধারণ মানুষের।
পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক, ঝাড়খণ্ডে হাতি তাড়ানোর নামে অত্যাচারের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। রাজ্যের আইনজীবী যুক্তি দেন, মশাল ছাড়া হাতি তাড়ান সম্ভব নয়। তবে সে যুক্তি মানেনি শীর্ষ আদালত। সোমবার, সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ দেয়, আগুন জ্বালিয়ে হাতি তাড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটলে যে যে অফিসার দায়ী হবেন তাঁদের নাম আদালতে জমা দিতে হবে।
হাতি তাড়াতে গ্রামবাসীদের পোড়া মোবিল দেওয়ার জন্য যে দরপত্র ডাকা হয়েছে তা বন্ধ রাখতে হবে। রাজ্য সরকারকে ২ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে হলফনামা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হাতি সমস্যা মেটাতে টাস্ক ফোর্স তৈরি করছে কেন্দ্র। ডিসেম্বরে সেই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন বন দফতরের কর্তারা। ৪ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি।