ইনি হরিণকে স্তন্যদু্গ্ধ পান করান!
হ্যাঁ, মানুষই পারে। যে মানুষ একদিকে খুন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মত ঘটনা ঘটায়, সেই মানুষই পারে এমন ঘটনা ঘটাতে। হরিণশিশুকে পরম স্নেহে-মমতায় স্তন্যপান করাতে।

ওয়েব ডেস্ক : হ্যাঁ, মানুষই পারে। যে মানুষ একদিকে খুন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মত ঘটনা ঘটায়, সেই মানুষই পারে এমন ঘটনা ঘটাতে। হরিণশিশুকে পরম স্নেহে-মমতায় স্তন্যপান করাতে।
“হ্যাঁ, আমি হরিণছানাকে স্তন্যপান করাই । কারণ ওরাও তো আমার ছেলেমেয়ের মতই।” সাফ কথা ঘোমটা টানা লাজুক মুখটার। রাজস্থানের বিষ্ণোই সম্প্রদায় । এই সম্প্রদায়ের মহিলাদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে এমনই আজব রীতি। কোলের ছেলেকে স্তন্যপান করানোর সঙ্গে সঙ্গেই একই আদরে হরিণছানাকেও স্তন্যপান করান তাঁরা।
রাজস্থানের ৫৫০ বছরের প্রাচীন জনজাতি বিষ্ণোই। প্রকৃতিকে তাঁরা দেবজ্ঞানে পুজো করেন। আর সেই প্রকৃতির সন্তান হল হরিণশিশুরা। ভীত, সন্ত্রস্ত হরিণ শিশুদের তাই পরম মমতায় কোলে তুলে নেন বিষ্ণোই মায়েরা। এমনকী, বিষ্ণোই মায়েদের ভাষাও বোঝে এই হরিণশিশুরা।
প্রায় ২০০০ পরিবার বিষ্ণোই জনজাতির অন্তর্ভুক্ত। বছর ৪৫-এর মাঙ্গী দেবী বিষ্ণোই বললেন, “এই হরিণ শিশুরা আমার জীবন । এরা আমার কাছে আমার নিজের সন্তানের মতই ।” ২১ বছরের রোশিনী বিষ্ণোই বলল, “ছোট্ট হরিণ শিশুদের সঙ্গে খেলতে খেলতেই আমি বড় হয়েছি ।”