তাবলিঘি জামাতের জন্যই দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জামাতে অংশগ্রহণকারী একজনও স্যানিটাজার ও মাস্কের ব্যবহার করেনি। এমনকী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও বালাই ছিল না।

নিজস্ব প্রতিবেদন- দিল্লির নিজামুদ্দিন মরকজে ১৩-১৫ মার্চ সমাবেশ ছিল তবলিঘি জামাতের। সেই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বহু বিদেশিরাও। আর সেই সমাবেশ থেকেই করোনা সারা দেশে ছড়াতে শুরু করেছিল বলে দাবি উঠেছিল। জামাতের ২৪ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়ানোর পর ব্যাপারটি সামনে এসেছিল। নিজামুদ্দিনের মরকজ ভবনে থাকা ২৩৫৫ জনকে বের করে আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁদের মধ্যে ৪৫০ জনকে পাঠানো হয়েছিল হাসপাতালে। বাকিদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল। এর পরই কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘুমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি অভিযোগ করেছিলেন, 'তালিবানি অপরাধ' করেছে তাবলিঘি জামাত। আর এবার তাবলিঘি জামাতের জন্যই দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে বলে জানিয়ে দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এদিন এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জামাতে অংশগ্রহণকারী একজনও স্যানিটাজার ও মাস্কের সঠিকভাব ব্যবহার করেনি। এমনকী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও বালাই ছিল না। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে গাদাগাদি করে জামাতের আয়োজন করা হয়েছিল। জামাত থেকেই দিল্লিতে করোনা ছড়িয়েছে। দিল্লি পুলিস সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় ইতিমধ্যে তবলিঘি জামাতের ২৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। প্রধান উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করেছিল দিল্লি পুলিস। মৌলানা সাদের ব্যাপারে এখনও তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজ্যসভায় হাঙ্গামার শাস্তি! ডেরেকসহ আট বিরোধী সাংসদ বরখাস্ত, পাল্টা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
নিজামুদ্দিন থেকে বাংলায় ফিরেছিলেন অনেকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পি এস শ্রীবাস্তাব জানিয়েছিলেন, দেশের মোট ২৫,৫০০ তবলিঘি কর্মী ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা মানুষদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।