Mobile Phone Battery Exploded: খাটিয়ায় শুয়ে দুধের শিশু; পাশে চার্জে বসানো মোবাইল ফোন, আচমকাই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা
শিশুটির কাকা অজয় কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমরা গরিব মানুষ। এখনও কিপ্যাড ফোন ব্যবহার করি। সেই মোবাইলটি ফেটে যায়। দাদার কাছে অত টাকা ছিল না যে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে মেয়ের চিকিত্সা করে

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মোবাইল ফোনের ব্যাটারি বিস্ফোরণ ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে। আট মাসের ওই শিশু পাশেই একটি সকেটে চার্জ করা হচ্ছিল একটি মোবাইল ফোন। সেই ফোনের ব্য়াটারি ফেটে গেল আচমকাই। মাত্র ৬ মাস আগে ওই ফোনটি কেনা হলেও তার ব্যাটারিটি ফুলে ছিল আগে থেকেই। তাতেই ঘটে গেল এমনই মর্মান্তিক ঘটনা। উত্তরপ্রদেশ পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, মোবাইলটি যখন চার্জ করা হচ্ছিল সেই সময় ঘরে ছিলেন না শিশুটির মা কুসুম। ঘরে একাই ছিল আট বছরের ওই শিশুকন্যা। খুব জোরে শব্দ হওয়ায় তিনি দৌড়ে ঘরে গিয়ে দেখেন শিশুটির শরীরের বেশকিছু জায়গা পুড়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন-শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তৎপরতা, জরুরি বৈঠক ডাকলেন শিক্ষামন্ত্রী
শিশুটির বাবা সুনীল কুমার কাশ্যপ পেশায় একজন দিনমজুর। সম্প্রতি একটি নির্মীয়মান বাড়ির নীচের তলায় বসবাস করছিলেন। ঘরে বিদ্যুতের কোনও সংযোগ ছিল না। ঘরে আলো ও মোবাইল ফোন চার্জের জন্য ব্যবহার করতেন সোলার প্যানেল। রোজকার মতোই কাজ বেরিয়েছিলেন সুনীল। মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন সুনীলের স্ত্রী কুসুম। দুপুরের খাওয়ার পর তিনি মেয়েকে একটি খাটিয়ায় শুইয়ে যান। আর খাটিয়ার উপরে ফোনটি রেখে তার চার্জে বসিয়ে যান।
পুলিসকে কুসুম জানিয়েছেন, প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে কথা বলছিলাম। আচমকাই খুব জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেলাম। ছুটে গিয়ে দেখি খাটিয়াটিতে আগুন ধরে গিয়েছে। মেয়ে নেহার দেহের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে। বুঝতেই পারিনি একটা মোবাইল ফোন আমার মেয়ের প্রাণ নিয়ে নেবে। তাহলে ওর বিছানার কাছে ওটা রাখতাম না।
শিশুটির কাকা অজয় কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমরা গরিব মানুষ। এখনও কিপ্যাড ফোন ব্যবহার করি। সেই মোবাইলটি ফেটে যায়। দাদার কাছে অত টাকা ছিল না যে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে মেয়ের চিকিত্সা করে। সেটা করতে পারলে হয়তো ওকে বাঁচানো যেত।