কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দিয়েই কি তৈরি সংলগ্ন মসজিদ, খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি ASI-কে
এনিয়ে আগেও আদালতে পিটিশন করা হয়েছে। ১৯৯১ সালেও এরকম এক পিটিশন করা হয় আদালতে

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাবরি কাণ্ডের পর এবার মাথা তুলছে আরও এক বিতর্ক। এবার সমস্যার কেন্দ্রে বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ও মন্দির সংলগ্ন জ্ঞাণব্যাপী মসজিদ
বৃহস্পতিবার ওই মন্দির ও মসজিদ সংলগ্ন জমিতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে(ASI) খোঁড়াখুড়ির অনুমতি দিল বারাণসীর একটি আদালত। এর জন্য ৫ সদস্যের একটি ASI প্রতিনিধি দল শীঘ্রই ওই এলাকা ঘুরে দেখবে।
আরও পড়ুন-বুথের বাইরে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করবে কে? এই প্রশ্নে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করে জনস্বার্থ মামলা
কেন এই খোঁড়াখুড়ির নির্দেশ? এককথায় বলতে গেল, দবি করা হচ্ছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙেই তৈরি হয়েছিল জ্ঞাণব্যাপী মসজিদ। অর্থাত্ বাবরির মতো মন্দিরের ভাঙা অংশ কাজে লাগানো হয়েছিল মসজিদ তৈরি করতে। বিতর্কটি অবশ্য বেশ পুরনো। তবে তা ফের মাথাচাড়া দিয়েছে গত বছর।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে বিজয় শঙ্কর রাস্তোগি নামে এক আইনজীবী বারাণসীর এক আদালতে আবেদন করেন, জ্ঞাণব্যাপী মসজিদের গোটা চত্বর সার্ভে করে দেখুক এএসআই। ওই আবেদন দাবি করা হয়, ২০১৯ বছর আগে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির(Kashi Viswanath Temple) তৈরি করেন বিক্রমাদিত্য। কিন্তু ১৬৬৪ সালে ওই মন্দির ধ্বংস করেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। শুধু তাই নয় মন্দিরের ধ্বংসাবশে, দিয়ে তৈরি করা হয় জ্ঞানব্যাপী মসজিদ। তাই কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরে থাকা ওই মসজিদ সরিয়ে দেওয়া হোক এবং ওই জায়গা মন্দির কমিটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন-গদ্দার আমি! ওঁর ঘরে বিভীষণ রয়েছে বলেই দল ছাড়তে হয়েছে, Mamata-কে পাল্টা Rajib-র
উল্লেখ্য, এনিয়ে আগেও আদালতে পিটিশন করা হয়েছে। ১৯৯১ সালেও এরকম এক পিটিশন করা হয় আদালতে। ওই পিটিশনে বলা হয় জ্ঞাণব্যাপী মসজিদে পুজো করার অনুমতি দিতে হবে। কারণ ওই মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দিরের ভাঙা অংশ দিয়ে।