Tala Bridge: বেশিরভাগ কাজই শেষ, পুজোর আগেই খুলে দেওয়া হচ্ছে টালা ব্রিজ!
এখনওপর্যন্ত কাজের যা অগ্রগতি তাতে সেপ্টেম্বরে সেতুর কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে মহালয়া অর্থাত্ ২৫ সেপ্টেম্বর সেতু চালু করে দেওয়া। তবে তা নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপরে

অয়ন ঘোষাল: মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন পুজোর আগেই যেন টালা ব্রিজ খুলে দেওয়া হয়। সবকিছু ঠিকঠাক চললে সম্ভবত সেই কাজ করে ফেলবে পূর্ত দফতর। কারণ নির্মীয়মান টালা ব্রিজের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। শনিবার সেতুর কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন রাজ্যর পূর্ত সচিব অন্তরা আচার্য। তিনি বলেন, সাড়ে চারশো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীত টালা ব্রিজের নির্মাণ কাজ একেবারে শেষপর্যায়ে। বাকী রয়েছে সেতুর ওপরের রাস্তা তৈরি, পাশ রেলিং বসানোর কাজ, ভারবহন পরীক্ষা, ব্যালান্স পরীক্ষা-সহ বেশকিছু টেকনিক্যাল কাজ। একেবারে শেষে রঙ করা হবে সেতুর মূল স্ট্রাকচার ও রেলিংয়ে।
এখনওপর্যন্ত কাজের যা অগ্রগতি তাতে সেপ্টেম্বরে সেতুর কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে মহালয়া অর্থাত্ ২৫ সেপ্টেম্বর সেতু চালু করে দেওয়া। তবে তা নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপরে। ভারী বৃষ্টি হলে সেতুর উপর ম্যাস্টিক অ্য়াসফল্ট রাস্তা ও বিটুমিন ধুয়ে যাবে । ফলে পয়সা নষ্ট হবে। বন্ধ রাখতে হবে কাজ। তবে এখন যা আবহাওয়া তাতে আগামী একমাস আবহাওয়ার খুব বেশি বদল না হওয়ারই সম্ভাবনা। তাই কাজ সময়মতো শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
উল্লেখ্য, আজ সকাল দশটায় পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র সহ পদস্থ কর্তাদের নিয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক সেতুর কাজ পরিদর্শন করেন সচিব। কাজের অগ্রগতি নিয়ে সেতুর ওপর তৈরি অস্থায়ী ক্যাম্পে বৈঠক করেন।
প্রসঙ্গত, টালা ব্রিজের নীচে দিয়ে গিয়েছে রেল লাইন। ওই জায়গায় ব্রিজ তৈরির জন্য রেলের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। নবান্ন সূত্রে খবর সেই অনুমতি পেতে ৬ মাস দেরি হয়ে গিয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর ওই অনুমতি দিয়েছে রেল। তার পর থেকেই জোর কদমে শুরু হয়েছিল ওই জায়গার নির্মাণ কাজ। অতিমারীর সময়েও কাজে কোনও বাধা সৃষ্টি হয়নি। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ছিল মাঝেরহাট ব্রিজ। তারপরই শহরের সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় পূর্ত দফতর। তাতে টালা ব্রিজের রোগ ধরা পড়ে। ভেঙে ফেলা হয় ব্রিজটি। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুরু হয় ব্রিজ ভাঙার কাজ।
আরও পড়ুন-তেরঙায় মুড়লেন নিজের ইনস্টাগ্রাম! স্বাধীনতা দিবসের আগে বিরাট বার্তা ধোনির