Nawsad Siddique: ভাঙড়ে যাওয়ার পথে ফের বাধা! পুলিসের সঙ্গে বচসা নওশাদ সিদ্দিকির
'জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভাঙড়বাসীর পাশে থাকা দরকার, সেটা আমাকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। সুকৌশলে আটকানো হচ্ছে'। দাবি ISF বিধায়কের।

বিক্রম দাস: ব্যবধান মাত্র ১ দিনের। ভাঙড় যাওয়ার পথে ফের নওশাদ সিদ্দিককে বাধা দিল পুলিস। কেন? 'সুকৌশলে আটকানো হচ্ছে', দাবি ISF বিধায়কের। পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তিনি। ঘটনাস্থল, নিউটাউনের সেই হাতিশালা এলাকা।
মনোনয়ন থেকে ভোটগণনা। পঞ্চায়েত ভোট পর্বে বারবার অশান্তির শিকার ভাঙড়। ভোট গণনা চলছে তখনও। মঙ্গলবার রাতে রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় ভাঙড়। পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ISF সমর্থকরা। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে এলাকায়! গুলিবিদ্ধ হন খোদ অতিরিক্ত পুলিস সুপার মাখসুদ হাসান ও তাঁর দেহরক্ষী।
এদিকে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এখন কলকাতায়। এদিন নিজের নির্বাচন কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। কিন্তু নিউটাউনে হাতিশালা এলাকায় রাস্তায় গার্ডরেল দিয়ে বিধায়কের গাড়ি আটকে দেয় পুলিস। তাদের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এরপরই কর্তব্যরত পুলিসকর্মীদের সঙ্গে বচসা জড়ান নওশাদ সিদ্দিকি।
ভাঙড়ের ISF বিধায়ক বলেন, 'জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভাঙড়বাসীর পাশে থাকা দরকার, সেটা আমাকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। ভাঙড়বাসীর অধিকারকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আমার ওখানে অনেক কাগজপত্র আছে। আমার অনেক কাজ আছে। অফিসে যাওয়ার আছে। অনেক পরিষেবা দেওয়ার আছে। সেগুলিতে সুকৌশলে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে'। তাঁর দাবি, মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা আছে। জাহানারা বিবি, তাঁর স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না, তাঁর বাড়িতে যাওয়ার আছে। মিসিং ডায়েরি হয়েছে। থানাকে জানানো হয়েছে। এবার আমরা কোর্টের দ্বারস্থ হব। যাতে সেগুলি না করতে পারি, সেজন্যই সুকৌশলে আটকানো হচ্ছে'।
এর আগে, শুক্রবারও ভাঙড়ে যাওয়ার পথে, নিউটাউনের হাতিশালা এলাকায় আটকানো হয়েছিল নওশাদ সিদ্দিকিকে। সেবার প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে ওই এলাকায় অপেক্ষা করেছিলেন তিনি। এমনকী, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।