মদন তামাং হত্যা মামলায় পাঁচদিনের আপাত স্বস্তি পেলেন মোর্চা নেতার
আপাতত স্বস্তি। মাত্র পাঁচদিনের জন্য। পাঁচদিন পরেই সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে নগর দায়রা আদালতে জানাতে হবে কী করতে চান তাঁরা? এই পাঁচদিন সময় হাতে পেয়ে আইনের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও যোগাযোগ- দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন মোর্চা নেতারা। সাত তারিখ চকবাজারে সিবিআইয়ের চার্জশিট নিয়ে মুখ খুলতে পারেন বিমল গুরুং।

ওয়েব ডেস্ক: আপাতত স্বস্তি। মাত্র পাঁচদিনের জন্য। পাঁচদিন পরেই সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে নগর দায়রা আদালতে জানাতে হবে কী করতে চান তাঁরা? এই পাঁচদিন সময় হাতে পেয়ে আইনের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও যোগাযোগ- দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন মোর্চা নেতারা। সাত তারিখ চকবাজারে সিবিআইয়ের চার্জশিট নিয়ে মুখ খুলতে পারেন বিমল গুরুং।
মদন তামাং হত্যা মামলা। মোর্চার ২৩ জন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে সিবিআই। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে চায় সিবিআই। ফলে চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর থেকে রীতিমতো উদ্বেগ ও আশঙ্কায় দিন কাটছে মোর্চা নেতাদের। গোটা ব্যাপারটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, এই অভিযোগ তোলার পাশপাশি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন মোর্চা নেতৃত্ব।। উদ্দেশ্য আগাম জামিন নিশ্চিত করা।
শেষপর্যন্ত সোমবার নগর দায়রা আদালত সিবিআইয়ের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছে, ৬ জুন আদালতে হাজির হতে হবে মামলার আইওকে। এই মামলায় পরবর্তীতে সিবিআই কী পদক্ষেপ নিতে চায়, তা জানাতে হবে আদালতকে। অর্থাত্ আরও পাঁচদিন হাতে সময় পেলেন মোর্চা নেতারা। এদিকে শনিবার থেকেই রাজনৈতিক মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছিল মোর্চা।
বিজেপি ইতিমধ্যেই পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁদের। সোমবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন হরকা বাহাদুর ছেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁদের কিছু করার নেই। পাহাড়ের মানুষ যেন তাঁদের ভুল না বোঝেন। পাহাড়ের মানুষকে নিয়ে কিন্তু বাস্তবিক অর্থে চিন্তিত মোর্চা নেতারাও। বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কুলুপ এঁটেছেন পাহাড়ের অন্য নেতারাও। সাত তারিখ চকবাজারে জনসভা করতে পারেন বিমল গুরুংরা। পর্যটক ভর্তি পাহাড়ে কী হবে তাঁদের পরবর্তী রণকৌশল?