চিরস্তব্ধ কবিতার মুহূর্ত, নিমতলা শ্মশানে অনাড়ম্বর শেষকৃত্য কবি শঙ্খ ঘোষের
গান স্যালুট ছাড়াই শেষ বিদায় কবিকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বাঙালিকে দিন করে দিল আরও খানিকটা। নক্ষত্রপতন ঘটল সাহিত্য জগতে। নিমতলা মহাশ্মশানে পঞ্চভূতে বিলীন হলেন কবি শঙ্খ ঘোষ।
বয়স থাবা বসেছিল শরীরে। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। তবুও তিনি ছিলেন, করোনা কেড়ে নিল কবি শঙ্খ ঘোষকে। তাঁর মৃত্যুতে 'অভিভাবকহীন' সাংস্কৃতিক জগত। টুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কলকাতায় নিজের বাসভবনে যখন শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি, তখন বালুরঘাটে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুঃসংবাদ পাওয়ার পর ফোনে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কবিতায় পুড়ে গিয়ে পাঠককে টেনেছিলেন শঙ্খ-শক্তি-সুনীলরা
পরিবার সূত্রে খবর, করোনার টিকা নিয়েছিলেন শঙ্খবাবু। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। ১৪ এপ্রিল করোনা পজিটিভি রিপোর্ট আসে। বার্ধক্যজনিত অসুখে শরীর দুর্বল ছিল আগে থেকেই। সংক্রমণের ধাক্কায় আরও দূর্বল হন প্রবীণ কবি। তাই নানা উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও নিভৃতবাসে ছিলেন বাড়িতেই। এরপর মঙ্গলবার রাত থেকে আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বুধবার সকাল থেকে ভেন্টিলেশনে ছিলেন শঙ্খ ঘোষ। ঘড়িতে তখন সাড়ে এগারোটা। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন জীবনানন্দ পরবর্তী যুগে বাংলার সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী এই কবি।
আরও পড়ুন: শঙ্খ ঘোষ যেন আজকের রাজাকেও প্রশ্ন করেন, বিচার দেবার আগে জেনে নাও প্রশ্ন করো তুমি কোন্ দল!
শোকবার্তায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কবি শঙ্খ ঘোষের শেষকৃত্য হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, 'শব্দহীন' হতে বলেছিলেন যিনি, তাঁর শেষবিদায়ে বাদ থাকল তোপধ্বনি। কারণ, কবির পছন্দ নয়। বরং পরিবারের ইচ্ছানুসারে 'গান স্যালুট' ছাড়াই অনাড়ম্বভাবেই হল শেষকৃত্য।