হম্বিতম্বিই সার, ফিস্ট করেই ধর্মঘট উদযাপন কলকাতা সিপিএমের
লোকসভা ভোটের আগে দুদিনের ধর্মঘট সুযোগ করে দিয়েছিল শক্তি দেখানোর। কিন্তু সেই সুযোগ কি আদৌ কাজে লাগাতে পারলেন কলকাতার সিপিএম নেতৃত্ব?

মৌমিতা চক্রবর্তী
ধর্মঘট সফল করতে রাস্তায় নামার ডাক ছিল। ছিল টায়ার পাঞ্চারের যন্ত্রও। প্রতিশ্রুতি ছিল, পুরনো আন্দোলনমুখী সিপিএমকে দেখা যাবে রাস্তায়। কিন্তু কোথায় কি! রাস্তায় সচল যানবাহন। ইট-পাটকেল ছোঁড়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন সিপিএম নেতারা। কিন্তু দূরদূরান্তে দেখা মিলল না লাল ঝান্ডাধারীদের। উপরন্তু, কলকাতা জেলা সিপিএম দফতরে চলল ফিস্ট।
লোকসভা ভোটের আগে দুদিনের ধর্মঘট সুযোগ করে দিয়েছিল শক্তি দেখানোর। কিন্তু সেই সুযোগ কি আদৌ কাজে লাগাতে পারলেন কলকাতার সিপিএম নেতৃত্ব? প্রশ্ন উঠছে আলিমুদ্দিনের অন্দরেই। যাদবপুরে ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও গ্রেফতার হন সুজন চক্রবর্তীরা। আর্মহাস্ট স্ট্রিট কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ব্যস, ওই পর্যন্তই। তারপর রাস্তায় দেখা মেলেনি কোনও নেতার। কিন্তু সিপিএমের কলকাতা দফতরে ভুরিভোজের আয়োজনে ছিল না কোনও খামতি। কামিনি আতপ চালের খিচুরি, হাঁসের ডিমের তরকারি ও চাটনিতে ধর্মঘট উদযাপন করলেন নেতারা।
আরও পড়ুন- সৌমিত্রর পর বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে তাঁর বন্ধু সাংসদও!
সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়ে দিলেন, আজকের মিছিল জনতাকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য ছিল। সূত্রের খবর, দুদিনের আন্দোলনের রিপোর্ট এসেছে জেলা থেকে। কিন্তু কলকাতার রিপোর্ট বেশ হতাশাজনক।