Recruitment Scam: মানুষকে বোকা বানানোই কি সিবিআইয়ের কাজ? নিয়োগ মামলায় প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের
Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে ৪ জনের বিরুদ্ধে টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের যে গ্রেফতার করা হয়নি তা মনে করিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই চারজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন

অর্নবাংশু নিয়োগী: প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় ফের তদন্তকারীদের দিকে প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। বিচারপতি বলেন, টাকার বিনিময়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের টাকার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? প্রশ্ন ও উত্তর কমপিউটারে বসানো। শুধু নাম বদল করা হয়েছে। সিটের সদস্য নন এমন অফিসার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এটা কী ধরনের তদন্ত?
আরও পড়ুন-বন্ধ অফলাইন অ্যাডমিশন! আদালতে বড় পদক্ষেপের কথা জানাল পর্ষদ
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মাত্র ৪ জন টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। যা দেখা যাচ্ছে সিবিআই আদালতের সঙ্গে খেলা করছে। সিবিআই অধিকর্তা প্রবীণ কুমার সুদ ৪ অক্টোবর রিপোর্ট জমা দেবেন। ভিডিয়ো কন্ফারেন্স হাজির থাকবেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যত কেস ডাইরি দেখছেন ততই অবাক হচ্ছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। অনিয়ম করে চাকরি পেয়েছেন ৪ জন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অথচ তাদের কাছে রাখা প্রশ্নে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি রাখা হয়নি। একজন ডিএসপি জিজ্ঞাসাবাদ করছেন অথচ তিনি সিট-এর সদস্য নন। সিটের সদস্য নন এমন একজন কীভাবে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসবাদ করছেন ও বয়ান রেকর্ড করছেন। এসব দেখে অবাক হয়ে যান বিচারপতি। আগামী ৪ অক্টোবর শুনানিতে সিবিআই আধিকারিককে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। ভার্চুয়ালি শুনানিতে তিনি হাজির থাকবেন। তদন্তের এমন অগ্রগতি কেন তার জবাব তিনি দেবেন। তার আগে ২৭ সেপ্টেম্বর সিটের প্রধান আদালতে হাজিরা দিয়ে তার বক্তব্য রাখবেন।
(Zee 24 Ghanta ডিজিটাল এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ফলো করুন ক্লিক করে)
বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন প্রশ্ন তোলেন, মানুষকে বোকা বানানোই কি সিবিআইয়ের কাজ? সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল। কিন্তু তাতে কী হল? এই মামলায় আর কোনও আধিকারিকের প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজন।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে ৪ জনের বিরুদ্ধে টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের যে গ্রেফতার করা হয়নি তা মনে করিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই চারজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তারপর তাদের গ্রেফতার করা হয়। পর্যদ ডিজিটাইজড ওএমআর শিট বলে যা দিচ্ছে তা হাতে টাইপ করা।