রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকরা এবার 'প্রচেষ্টা'য় হাজার টাকা অনুদানের আবেদন করতে পারবেন, জারি নির্দেশিকা
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের এক হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের উদ্ভূত পরিস্থিতি তথা লকডাউনে অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের নয়া প্রকল্প 'প্রচেষ্টা'র সরকারি নির্দেশিকা জারি হল।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন অসংগঠিত শ্রমিকদের এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। লকডাউনে রাজ্যের দুঃস্থ পরিবারগুলির কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী বিনামূল্যে সবাইকে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এর ফলে উপকৃত হবেন রাজ্যের প্রায় ৮ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ। কিন্তু তাতেও অসংগঠিত শ্রমিক, যাঁরা দিন আনে দিন খায়, তাঁদের সমস্যা মিটত না। রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রাম, জেলাগুলিতে কয়েক হাজার শ্রমিক রয়েছেন, যাঁরা পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। লকডাউনের বাজারে কাজ না থাকায়, তাঁদের প্রায় অনাহারেই থাকতে হচ্ছে। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকারের এই নতুন প্রকল্প।
মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে রাজারহাট কোয়েরান্টাইন পরিদর্শন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের, এড়িয়ে গেল বাঙুর কোভিড হাসপাতাল
প্রচেষ্টা প্রকল্প
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের এক হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে
অসহায় শ্রমিকরা আবেদন করতে পারেন ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে-র মধ্যে
এই সময়সীমার মধ্যে অসংগঠিত শ্রমিকরা সাহায্যের আবেদন জানাতে পারবেন
অসংগঠিত শ্রমিকদের মধ্যে কারা এই প্রকল্পের আওতায় পড়বেন?
তবে পরিবারের এক জনই আবেদন জানাতে পারবেন।
স্বামী অথবা স্ত্রী কিংবা অবিবাহিত ছেলেমেয়ে আবেদন জানাতে পারবেন
তবে যে সমস্ত শ্রমিকরা ইতিমধ্যেই অন্য কোনও সরকারি স্কিম যেমন বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা পেয়ে থাকেন, তাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন না।
বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যে ভাতা দেওয়া হয়, তার উপভোক্তারাও এই প্রকল্পের আওতায় নন।
প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
জেলাগুলির ক্ষেত্রে প্রকল্পের আওতায় যাঁরা পড়েন, তাঁরা আবেদনপত্রটি জেলাশাসকের কাছে জমা করতে পারবেন। আর কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে কমিশনারের কাছে আবেদনপত্র জমা করা যাবে।
জেলাগুলিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনপত্রটি খতিয়ে দেখবেন। আদৌ আবেদনকারীর এই প্রকল্পে টাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা, সেব্যাপারে বিডিও ও এসডিও মারফত্ খোঁজখবর নেবেন। এরপর আবেদনের ভিত্তিতে টাকা দেওয়া হবে।
কলকাতা পুরসভা এলাকাগুলিতে আবেদনপত্র খতিয়ে দেখবেন কেএমসি-র কমিশনার। আবেদনের সত্যতা যাচাইয়ের পরই টাকা দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার এই প্রকল্পের সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে।