Calcutta HC: প্রাথমিকে নিয়োগে স্বজনপোষণ! শিক্ষা দফতরকে মোটা টাকা জরিমানা হাইকোর্টের
Calcutta HC:আদালত নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর করেনি শিক্ষা দফতর। এনিয়ে ফের মামলা হওয়ায় শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করল আদালত। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওই টাকা হাইকোর্টের লিগ্যাল এইড সার্ভিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

অর্ণবাংশু নিয়োগী: পুরনো এক নিয়োগ মামলায় এবার রাজ্য শিক্ষা দফতরকে জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই মামলায় আদালতের নির্দেশ না মানায় রাজ্য শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জারিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-বিধানসভায় যোগ দিতে এসে অসুস্থ, এসএসকেএম-এ প্রয়াত বিজেপি বিধায়ক
কেন ওই জরিমানা? ২০১২ সালে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্ব মেদিনীপুরে স্বজনপোষণ হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে মামলা ওঠে আদালতে। সেই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল স্বজনপোষণ করে কাদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল তা প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারিকে তদন্ত করে বলতে হবে। ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। সাত বছর আগের সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি বোর্ড। তারপর এনিয়ে ফের মামলা হয়। ওই মামলায় মামলাকারী আবেদন করেন, সেইসময় যারা চাকরি পেয়েছিল তাদের চাকরি বাতিল-সহ তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত।
এদিকে, আদালত নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর করেনি শিক্ষা দফতর। এনিয়ে ফের মামলা হওয়ায় শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করল আদালত। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওই টাকা হাইকোর্টের লিগ্যাল এইড সার্ভিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে তার রিপোর্ট প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারিকে আদালতে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা না থাকে তাহলে তাঁর উচিত পদত্যাগ করা। ওই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে ১২ সেপ্টেম্বর।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে একের পর এক মামলা চলছে হাইকোর্টে। কোথায় সিবিআই, কোথায় ইডি এনিয়ে তদন্ত করছে। খোদ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এখন জেলে। টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ বহু লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের অনেকেই শাসকদল ঘনিষ্ঠ। ফলে একদিকে যেমন চাকরি দেওয়ার রাস্তা খোলেনি তেমনি অভিযুক্তদের কারও বিরুদ্ধেই বড় কোনও সাজা ঘোষণা হয়নি।