চাকায় বই, আস্ত এক লাইব্রেরি ট্রামের পেটে
কোভিড-আবহকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলতে শুরু করল শ্যামবাজার-এসপ্ল্যানেড রুটের বই-ট্রাম। আজ বিকেল ৩-টেয় ট্রামটি যাত্রা শুরু করল

নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফানের পরে নতুন রূপে ফিরে এল শ্যামবাজার-এসপ্ল্যানেড রুটের ট্রাম। এ বার এই ৪.৫ কিলোমিটার দূরত্বের রুটে একরাশ বই নিয়ে ছুটবে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাম। আজ থেকেই শুরু তার যাত্রা।
কলকাতায় ট্রাম এমনিতেই ধুঁকছে। আমফান সেই মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা দিয়ে গিয়েছিল। এ শহরের বহু রুটেই ট্রাম বন্ধ ছিল। তবে ইদানীং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে একটা-একটা করে রুটে ট্রাম চলতে শুরু করেছে।
সে ভাবেই এই কোভিড-আবহকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলতে শুরু করল শ্যামবাজার-এসপ্ল্যানেড রুটের এই বই-ট্রাম। আজ বিকেল ৩-টেয় ট্রামটি তার যাত্রা শুরু করল। এ এক অভিনব ব্যবস্থা বলে বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছে। সকলেই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
ট্রাম এই শহরে উপনিবেশিক সভ্যতার এক প্রাচীন চিহ্ন। ১৮৭৩ সালে তার চাকা এখানে গড়াতে শুরু করেছিল। তার পর থেকে নানা রকম বদলের মধ্যে দিয়ে সে এগিয়ে গিয়েছে। তবে, অতীতে এই শহরের ট্র্যাক ধরে যে গৌরবের সঙ্গে ছুটে যেত ট্রাম, আজ আর তার সেইদিন নেই। কিন্তু এই আবহেও এই বই-ট্রাম ট্রাম নিয়ে নতুন করে আগ্রহ তৈরি করেছে শহরবাসীর মধ্যে। কামরায় ই-বুক এবং ছাপা বই দুরকম ব্যবস্থাই থাকছে। সকলেই ট্রামে উঠে বই ঘাঁটতে পারবেন। এবং বই দেখতে দেখতে এই ট্রাম-যাত্রা নিঃসন্দেহে যাত্রীর মধ্যে এক অন্যরকম ভাললাগা তৈরি করবে।
শ্যামবাজার থেকে যে রুট ধরে ট্রামটি এসপ্ল্যানেড পৌঁছবে সেই পথেই পড়ে কলেজস্ট্রিট। যে জায়গাটিকে এ রাজ্যের শিক্ষা-সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে ধরা হয়। এখানকার বই-পাড়া এক বিশিষ্ট ব্যাপার। শুধু তাই নয়, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে এই অঞ্চলে জ্ঞানচর্চার আবহ খুবই প্রবল। সেই বিষয়টাই এই ধরনের বই-ট্রাম চালু করার ক্ষেত্রে কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথম দিনই বিষয়টা নিয়ে পথচারীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।